স্বাস্থ্য ডেস্ক, হেল্থপ্লান
রংপুর: প্রতিশেধকের চেয়ে প্রতিরোধ উত্তম। সচেতনতার মাধ্যমে ক্যানসারের মতো ঘাতক আর দুরারোগ্য অসুখকে রুখে দেয়া সম্ভব। কিন্তু ভারতীয় উপমহাদেশে নারীদের মাঝে সে প্রচলনটা খুবই কম। অথচ ক্যানসারের শুরুর দিকে তার প্রতিরোধ করার ব্যবস্থা নিলে এর স্বমুলে উৎপাটন সম্ভব হয়। প্রকৃতপক্ষে অনেক নারীই ক্যানসারের নানা লক্ষণ সম্পর্কে অভিজ্ঞ থাকলেও ভয়ে কোনো ব্যবস্থা নিতে চান না। ভাবেন, এসব সমস্যাকে পাত্তা না দিলে আর ভয় থাকবে না। কোনো ধরনের লক্ষণ দেখা দিলেও অন্যের কাছে তা প্রকাশ করেন না। অপরদিকে চিকিৎসার ব্যয়ভার বহন, সুচিকিৎসকের নিশ্চয়তা, পরিবারের সাহায্য এবং মানসিক সহায়তার অভবে সমস্যার চরম পর্যায় পর্যন্ত অপেক্ষা করা হয়। যতদিন পর্যন্ত অবস্থা বিপজ্জনক না হয় ততদিন তারা ডাক্তারের কাছে যান না।
অনেকেই মনে করেন আধুনিক চিকিৎসা ব্যবস্থায় থাকা জরায়ু এবং স্তন ক্যানসারের টিকা নিয়ে পুরোপুরি নিরাপদ আছেন। কিন্তু বাস্তবে জরায়ু আর স্তন ক্যানসার এর এই টিকা অন্যান্য অঙ্গের ক্যানসারকে রুখতে পারে না। সেজন্য ধুমপান, অতিবেগুনি রশ্মির প্রভাব, মদ্যপান থেকে বিরত থাকতে হবে। তবে সব ধরনের শারীরিক সমস্যা রোধে নারীকে প্রথমেই তার ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখার চেষ্টা করতে হবে।
এখানে কিছু ক্যানসারের লক্ষণ তুলে ধরা হল যা নারী একেবারেই এড়িয়ে বাঁচতে চান। যদি এই ধরনের সমস্যা কোনো নারীর প্রায়ই দেখা দেয় অবশ্যই দ্রুত অভিজ্ঞ ডাক্তারের পরামর্শ নিতে হবে।
0/হঠাৎ করেই ভীষণভাবে ওজন কমে যাওয়া বা বেড়ে যাওয়া, ক্ষুধা বেড়ে যাওয়া, দুর্বলতা এবং বিষণ্ণতা দেখা দেয়া।
0/মুখে কোনো ধরনের ক্ষত থাকলে এবং তা দীর্ঘদিনেও ভালো না হলে।
0/খাবার গিলে খেতে সমস্যা হলে।
0/শরীরের কোথাও শ্বেতীরোগ দেখা দিলে।
0/স্তনে কোনো ধরনের গোটা দেখা দিলে।
0/দীর্ঘদিন ধরে কফের সঙ্গে রক্ত গেলে।
0/অনেক বেশি সাদাস্রাব দেখা দিলে।
0/হঠাৎ করে বা মাসের নিয়মে মাত্রাতিরিক্ত ঋতুস্রাব দেখা দিলে।
0/সময়ে অসময়ে প্রস্রাবের সঙ্গে রক্ত বের হলে।
এই গুলো এড়িয়ে কখনোই সুস্থতা নিশ্চিত করা সম্ভব নয়। তাই দরকার সাবধান হওয়া।
0 comments:
Post a Comment