থানকুনি পাতা

থানকুনি বিভিন্ন সংস্কৃত গ্রন্থে ব্রাহ্মী উদ্ভিদ নামে পরিচত । থানকুনির সিক্ত পতিত জায়গাতে কোনো প্রকার যত্ন ছাড়াই আগাছা হিসাবে জন্মে থাকে ।
থানকুনির পাতা পেটের সমস্যা, জ্বর,মূত্রবর্ধক,পীডিঅ্যাট্রিক,কোস্ট এবং ফুসকুড়িতে জন্য বাইরে প্রয়োগ করা হয় । দীর্ঘায়ু এবং মানসিক কার্যকারিতা , ক্লান্তি এবং বিষণ্নতা হ্রাস এবং লিঙ্গ উদ্দীপিত করে । এটি কেন্দ্রীয় স্নায়ুতন্ত্রের শক্তি বর্ধক এবং সংবহনতন্ত্র এর স্থায়িভাবে স্ফীত বা বর্ধিত শিরা কমাতে সাহায্য করে । এটা ছাড়াও চামড়া এবং সংযোজক টিস্যু রিপেয়ারিং এবং মসৃণকরণ ভূমিক রাখে ।
থানকুনির সক্রিয় উপাদানের Bacoside A এবং B । Bacoside B মস্তিষ্কের কোষের জন্য উপকারী । ফলস্বরূপ থানকুনি মানসিক নির্মলতা, আস্থা, বুদ্ধিমত্তা উন্নত করনে ভূমিকা রাখে । থানকুনি নিয়মিত ব্যবহারের ফলে ছাত্রদের ও বয়স্ক মানুষ এর স্মৃতি শক্তি উন্নত হয় ।
Asiaticosides reticuloendothelial সিস্টেম যেখানে নতুন রক্ত কোষ গঠিত হয় ও পুরাতন রক্ত কোষ ধ্বংস হয় । চর্বিজাতীয় পদার্থ সংরক্ষিত হয়, লোহা, metabolized এবং ইমিউন প্রতিক্রিয়া ও প্রদাহ ঘটতে পারে অথবা শুরু হয় । Centella এর কর্ম প্রাথমিক মোড যোজক কলা বিকাশের বিভিন্ন পর্যায়ে, যা আরোগ্য প্রক্রিয়ার অংশ হতে প্রদর্শিত হয় । Asiaticosides এছাড়াও লিপিড ও প্রোটিন সুস্থ ত্বক জন্য প্রয়োজনীয় সংশ্লেষণ উদ্দীপিত করে । Centella যোজক শিরা পার্শ্ববর্তী টিস্যু রিপেয়ারিং এবং কৈশিক ভঙ্গুরতা কমিয়ে শিরা শক্তিশালী করে ।
দেশীয় চিকিত্সাতে কুষ্ট এবং চামড়া রোগের চিকিত্সা ব্যবহৃত হয় । এটি তাজা ঔষধি ঠান্ডা প্রলেপ বাত, গোদ এবং কুষ্ট রোগের বহিরাগত অ্যাপ্লিকেশন হিসাবে ব্যবহৃত হয় । কুষ্ট এবং অন্যান্য ত্বকের রোগ চিকিত্সার জন্য এটি মলম বা ঝাড়া গুঁড়া হিসাবে দেওয়া হয় । ব্রংকাইটিস, হাঁপানি, পাচক , কিডনি যন্ত্রণার এবং শোথ চিকিত্সা ব্যবহৃত হয় । শিশুদের রক্তের মস্তিষ্ক স্নায়ুতন্ত্রের কার্ডিওভাসকুলার গ্যাসত্রইনটেসটিনাল গ্রন্থিময় ইমিউন সিস্টেম কাশি সমস্যা, লিভার শ্বাস প্রশ্বাস ও কলা ডেভেলপমেন্ট জন্য ব্যবহৃত হয় ।

ভেষজ দাওয়াই
থানকুনি
থানকুনি গাছ আমরা কমবেশি সবাই চিনি বা নাম শুনেছি। থানকুনি দুই রকমের হয়_বড় ও ছোট থানকুনি।
উপকারিতা
* নিয়মিত থানকুনি পাতার রস খেলে ত্বকের সতেজতা বাড়ে।
* জ্বর ও আমাশয়ে রস খেলে উপকার হয়।
* মুখে ঘা হলে থানকুনি পাতা সিদ্ধ পানি দিয়ে কুলি করলে ঘা কমে যায়।
* চুল ঝরা কমাতে পুষ্টিকর ভিটামিনসমৃদ্ধ খাবারের পাশাপাশি ৫-৬ চামচ থানকুনি পাতার রস দুধের সঙ্গে মিশিয়ে খেলে চুলপড়া কমবে।
* বাচ্চাদের কথা পরিষ্কার না হলে এক চামচ থানকুনি পাতার রস গরম করে প্রতিদিন খাওয়ালে কথা স্পষ্ট হবে।
* ঠাণ্ডা লাগলে ২০-২৫ ফোঁটা থানকুনির রসের সঙ্গে মধু মিশিয়ে খেলে উপকার পাবেন।
প্রকৃতিতে আমাদের অগোচরে কত গাছগাছড়াই তো ছড়িয়ে আছে, এর কটাকেই বা আমরা চিনি।
জংলি উদ্ভিদ হিসেবে আধুনিক সমাজে এগুলোর অনেকটাই অপাঙক্তেয়। অথচ এসব উদ্ভিদের প্রায় সবগুলোই কোনো না কোনোভাবে ভেষজগুণে সমৃদ্ধ।
থানকুনি গাছ বা থানকুনি পাতা তেমনই এক ধরণের উদ্ভিদ। ভেষজগুণে সমৃদ্ধ থানকুনির রসে রয়েছে শরীরের জন্য প্রচুর উপকারী খনিজ ও ভিটামিন জাতীয় পদার্থ।
থানকুনি পাতার রস নিয়মিত সেবনে ত্বকের সতেজতা বৃদ্ধি পায়। রূপ সচেতন নারীরা ইচ্ছ‍া করলে চেষ্টা করে দেখতে পারেন। দেখবেন ধীরে ধীরে উপকার পাচ্ছেন।
এছাড়া ঘন ঘন জ্বর বা আমাশয় থেকে রক্ষা পেতেও খেতে পারেন থানকুনির রস। উপকার পাবেন সুনিশ্চিত ।
আমাদের অনেকেরই মুখে দেখা যায় ঘায়ের সমস্যা। থানকুনি পাতা সিদ্ধ পানি দিয়ে কুলি করুন নিয়মিত। দেখবেন মুখে ঘায়ের প্রকোপ কমে গেছে অনেকখানিই।
বিভিন্ন কারণেই অকালে চুল ঝড়ে যেতে পারে। অনেক ওষুধ পথ্য খেয়েও দেখা যাচ্ছে কাজের কাজ কিছুই হচ্ছেনা। চেষ্টা করে দেখুন থানকুনি পাতার রস।
পুষ্টিকর খাবার খাওয়ার পাশাপাশি প্রতিদিন দুধের সঙ্গে মিশিয়ে খান পাঁচ-ছয় ফোটা থানকুনির রস। দেখবেন ধীরে ধীরে উপকার পাচ্ছেন, কমে যাচ্ছে চুল পড়ার হার।
ছেলেবেলায় যেসব শিশুরই কথা জড়িয়ে যায়, সেসব শিশুর উদ্বিগ্ন মায়েদের দুশ্চিন্তা অবসানে রয়েছে থানকুনি গাছ। প্রতিদিন এক চামচ করে থানকুনি পাতার রস গরম করে শিশুকে খাওয়ান, দেখবেন ধীরে ধীরে কথার অস্পষ্টতা কেটে যাচ্ছে।
আবার আবহাওয়ার তারতম্য হলে সর্দি গরমিতে ভোগেন অনেকেই। একটুতেই ঠান্ডা লেগে যায় তাদের। তাদের জন্যও সমাধান রয়েছে থানকুনি পাতার রসেই।
২০-২৫ ফোটা থানকুনির রস মধুর সঙ্গে মিশিয়ে নিয়মিত খান, দেখবেন ঠাণ্ডা লাগার অস্বস্তিকর অনুভূতি দূর হয়েছে অনেকখানিই।
এখন প্রশ্ন হলো ব্যস্ত নগরজীবনে থানকুনি পাতা খুঁজে পাবেন কোথায়। গ্রামে অবশ্য থানকুনি গাছের অভাব নেই। সহজেই দেখা মেলে ঝোপে জঙ্গলে। শহর‍াঞ্চলে থানকুনির খোঁজ পাওয়া একটু কঠিনই বটে।
তবে রাজধানীর কারওয়ান বাজারসহ কাঁচা বাজারগুলোতে একটু খোঁজ করলেই মিলবে থানকুনি পাতা। ফ্রিজেও কয়েকদিন রাখতে পারবেন থানকুনি পাত‍া।
অথবা যারা আরও একটু সচেতন তারা ইচ্ছে করলেই বাড়ির ছাদে অথবা বারান্দার এক কোনায় টবের ভেতরই লাগাতে পারেন থানকুনি গাছ। চারা পেতেও তেমন কোনো সমস্যা হবে না। যে কোনো নার্সারিতেই একটু খুঁজলেই মিলবে থানকুনি গাছ।
Share on Google Plus

About HealthPlan

This is a short description in the author block about the author. You edit it by entering text in the "Biographical Info" field in the user admin panel.
    Blogger Comment
    Facebook Comment

0 comments:

Post a Comment