কলা, একটি প্রাকৃতিক ঔষধ

কলা, একটি প্রাকৃতিক ঔষধ !
অত্যন্ত উপকারী ফল কলা। কলাতে আমাদের শরীরের শক্তি বর্ধনকারী সুকরোজ, ফ্রুক্টোজ, গ্লুকোজ এবং ফাইবার রয়েছে। গবেষণায় জানা যায় মাত্র দুইটি কলা প্রায় ৯০ মিনিট পূর্নোদ্যমে কাজ করার মত শক্তি যোগায় এবং বিশ্বে ক্রীড়াবিদদের ডায়েটের অন্যতম ফল হল কলা।
কলা যে কেবল শরীরে শক্তি যোগায় তা নয় বরং মানসিক,শারীরিক অনেক অসুস্থতা থেকে কলা আমাদের প্রতিরোধ করে। তাই দেরী না করে জেনে নিন কলার প্রাকৃতিক গুন বৈশিষ্ট্য।
হতাশাঃ ভয় পাবেননা, কলা খেলে আপনার হতাশা বাড়বেনা। কলাতে ট্রিপ্টোফ্যান নামক রাসায়নিক উপাদান রয়েছে যেটা সেরোটোনিনে রূপান্তরিত হয়। যারা হতাশাগ্রস্থ তাদের সেরোটোনিন লেভেল কম থাকে। কলা খেলে সেরোটোনিন লেভেল বেড়ে যায়, মন-মেজাজ ফুরফুরে থাকে, হতাশা কেটে যায়।
প্রি-মিনস্ট্রুনাল সিন্ড্রোমঃ মেয়েদের প্রতি মাসে হরমোনাল পরিবর্তন জনিত কারনে ঋতুস্রাব হয় তার পূর্বে যে প্রি-মিনস্ট্রুয়াল সিন্ড্রোম দেখা যায় কলা খেলে সেটা অধিকাংশে কমে যায়। কলাতে ভিটামিন বি-৬ থাকে যা রক্ত সুগার নিয়ন্ত্রন করে, মুড ভাল রাখে।
রক্তশূন্যতা বা এনিমিয়াঃ কলাতে প্রচুর আয়রন থাকে যা হিমোগ্লোবিন তৈরিতে সাহায্য করে, ফলস্বরূপ রক্তশূন্যতা বা এনিমিয়া প্রতিরোধ হয়।
উচ্চ রক্তচাপঃ কলাতে পর্যাপ্ত পরিমান পটাশিয়াম থাকে এবং লবণ কম থাকে যা উচ্চরক্তচাপ ও স্ট্রোকের সম্ভাবনা প্রায় ৪০% কমিয়ে দেয়।
কোষ্ঠকাঠিন্যঃ কলাতে যথেষ্ট ফাইবার থাকে তাই রেগুলার কলা খেলে কোষ্ঠকাঠিন্য থেকে মুক্তি পাবেন।
হ্যাংওভারঃ যারা মাদকাসক্ত তাদের জন্য কলা সাথে মধু এবং দুধ মিশিয়ে খেলে আসক্তি পরবর্তি ইফেক্ট কমে যাবে। কলা আমাদের পাকস্থলিকে কার্যক্ষম করতে সহায়তা করে, মধু রক্ত সুগার বৃদ্ধি করে শক্তি যোগায় আর দুধ পুরা শারীরিক ব্যবস্থাপনাকে সচল রাখতে সাহায্য করে।
বুকে জ্বালা-পোড়াঃ যাদের গ্যস্ট্রিক বা আলসার রয়েছে, যারা বুকে জ্বালা পোড়া অনুভব করেন তাদের জন্য কলা প্রাকৃতিক এন্টাসিড হিসাবে কাজ করে। তাই গ্যাস্ট্রিকের রোগীদের নিয়মিত কলা খাওয়া উচিত।
পোকামাকড়ের কামড়ঃ কোথাও পোকামাকড় কামড় দিলে কোন মলম দেবার আগেই যদি কলা সেই জায়গাতে দেয়া যায় তাহলে লাল হয়ে ফুলে যাওয়া ভাবটা কমে যায়।
অতিরিক্ত ওজনঃ কলা অতিরিক্ত ওজন কমাতে সাহায্য করে। কলাতে পর্যাপ্ত শক্তি বর্ধনকারী সুগার রয়েছে যা একই সাথে ক্ষুধা নিবারন করে এবং অতিরিক্ত ওজন থেকে রক্ষা করে। তাই কাজের ফাঁকে ফাঁকে ফাস্ট ফুড না খেয়ে কলা খান।
তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণঃ গর্ভবতী মহিলাদের শারীরিক ও মানসিক যে চাপের জন্য উচ্চতাপমাত্রা হয়ে থাকে সেটা কলা খেলে ঠান্ডা এবং নিয়ন্ত্রণে আসে।
ধূমপান ও টোব্যাকো আসক্তিঃ যারা ধূমপায়ী তাদের ধূমপান ত্যগ করার জন্য কলা অন্যতম উপকারী ফল। কলাতে ভিটামিন বি-৬, বি-১২, ম্যাগনেসিয়াম, পটাশিয়াম থাকে যা নিকোটিনের ক্ষতিকর প্রভাব থেকে শরীর কে রক্ষা করে এবং ধূমপানে ত্যাগের জন্য শরীরকে তৈরি করে।
অতিরিক্ত চাপঃ কলাতে পটাশিয়াম রয়েছে যা আমাদের ব্রেইনে অক্সিজেন সরবরাহতে সাহায্য করে, পানির সাম্যতা নিয়ন্ত্রণ করে। যখন আমরা কাজের জন্য অতিরিক্ত চাপের মধ্যে থাকি তখন পটাশিয়াম লেভেল কমে যায় তাই কলা খেলে অতিরিক্ত চাপের সময়ও শারীরিকভাবে সুস্থ থাকা যায়।
তাই কলাকে বিভিন্ন রোগের প্রাকৃতিক �"ষধ বলা হয়। একটি আপেলের সাথে তুলনা করে দেখা গেছে যে কলাতে প্রায় চারগুণ বেশি আমিষ, দুইগুণ বেশি শর্করা, তিনগুন বেশি ফসফরাস, পাঁচ গুণ বেশি ভিটামিন-এ, আইরন, ভিটামিন ও অন্যান্য খনিজ উপাদান রয়েছে। এছাড়াও রয়েছে পর্যাপ্ত পরিমান পটাশিয়াম।
তাইতো কলা নিয়ে বলা হয়
Share on Google Plus

About HealthPlan

This is a short description in the author block about the author. You edit it by entering text in the "Biographical Info" field in the user admin panel.
    Blogger Comment
    Facebook Comment

0 comments:

Post a Comment