স্বাস্থ্য ডেস্ক, হেল্থপ্লান
কালমেঘ প্রাচীন কাল থেকে নানা রোগের উপশমকারী হিসেবে দারুণ পরিচিত। এশিয়ার অন্যান্য দেশসহ ভারতীয় উপমহাদেশে কালমেঘ বা চিরতার চাষ হয় উল্লেখযোগ্যহারে। বর্তমানে ইউরোপ-আমেরিকাতেও এর ব্যবহার চলে বেশ। দেড় থেকে তিন ফুট উচু ডালপালা যুক্ত গাছে গাঢ় সবুজ পাতা, পাতার ফাঁকে উকি দেয় ছোট্ট সাদা ফুল। ওষধি গুণে ভরা এই পাতার রস খুব তিতা হলেও উপকারের গুণে সবার কাছে কদর পায় ভীষণ। তাই আজ জেনে নেব আমাদের দেহের নানা ধরণের রোগ সারাতে তিতা চিরতার মিঠা উপকারিতা সম্পর্কে। বাজারে চিরতার পাতলা ডালপালা বিক্রি হয়। এগুলো ধুয়ে পরিষ্কার করে গ্লাস বা বাটিতে পানি দিয়ে সারা রাত ভিজিয়ে রাখতে হয়। সকালে খালি পেটে ওই পানি খেলে উপকার পাওয়া যায়।
দেহে ক্যানসারের জীবানু ঢুকতে বাধা দেয় এবং প্রতিরোধ গড়তে সহায়তা করে। বিশেষ করে স্তন ক্যানসার রুখতে বেশি কার্যকরী ভূমিকা পালন করে।
পাকস্থলির সুস্থতায় চিরতা দারুণ কার্যকর। নিয়মিত চিরতার পানি পানে বদহজম, গ্যাস, আলসার রোধ সম্ভব।
দেহের অন্যান্য রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়িয়ে তুলতে চিরতা সহায়তা করে।
রক্তে দূষিত পদার্থ দূর করতেও চিরতা দারুণ ভূমিকা রাখে।
উচ্চ রক্তচাপ কমাতে চিরতার তুলনা হয় না।
হজমক্ষমতা বাড়িয়ে কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে চিরতা গুণ।
দেহের দুর্বলতা কাটিয়ে শক্তি সামর্থ বাড়িয়ে দেয়। অনিদ্রা, বিষণ্ণতা দূর করতেও চিরতার গুণ অতুলনীয়।
চিরতা হৃৎপিণ্ড ও যকৃত সবলকারক হিসেবে দারুণ পরিচিত।
চিরতা চোখের দৃষ্টিশক্তিকে বাড়িয়ে দিতে কার্যকরী ভূমিকা পালন করে।
চিরতা খেলে যেকোনো কাটা, ছেঁড়া, ক্ষতস্থান দ্রুত শুকায়।
ডায়াবেটিসের রোগীদের জন্য চিরতা ভীষণ জরুরি পথ্য। চিরতার রস দ্রুত রক্তে চিনির মাত্রা কমিয়ে দেয়।
উচ্চমাত্রার কোলেস্টেরল, উচ্চরক্তচাপ, অতি ওজনবিশিষ্ট ব্যক্তির জন্যও চিরতা দরকারী।
চিরতার রস কৃমিনাশক।
তারুণ্য ধরে রাখতেও চিরতার গুরুত্ব অপরিসীম।
জ্বরজ্বর লাগা দূর করে চিরতার রস।
নিয়মিত তিতা বা চিরতার রস খেলে ফুড পয়জনিং হওয়ার আশঙ্কা কম থাকে।
যাদের ডায়াবেটিস নেই কিন্তু রক্তে চিনির পরিমাণ সবসময় স্বাভাবিকের তুলনায় বেশি থাকে, তাদের জন্য চিরতা গুরুত্বপূর্ণ হাতিয়ার।
সতর্কতা
গর্ভবতী অবস্থায় চিরতার রস পান করা উচিৎ নয়।
যাদের অন্ত্রে আলসার আছে, তাদের চিরতার রস পান করা উচিত নয়।
0 comments:
Post a Comment